ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার অসাধারণ ১২টি আইডিয়া
অনলাইন ব্যবসা এমন এক ধরনের ব্যবসা যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনলাইন বা ইন্টারনেটের দ্বারা করা হয়ে থাকে। বর্তমান যুগের সাথে মানুষ তাল মিলিয়ে চলার জন্য স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করছে। অনলাইন ব্যবসার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ ইন্টারনেটের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়। বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই অনলাইন থেকে যেকোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করছে গ্রাহকেরা। যা (online business) অনলাইন ব্যবসা নামে পরিচিত। আজকের এই প্রবন্ধে, ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার অসাধারণ ১০টি আইডিয়া শেয়ার করবো। চলেন শুরু যাক-
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার অসাধারণ ১২টি আইডিয়াঃ
১.সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর ব্যবহার:
ব্যবসার জন্য বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। এমন অনেকেই আছো, যারা ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করে পরিচিত পেয়েছে এবং সাফল্য অর্জন করেছে। তাছাড়া আপনি চাইলে ফেসবুক ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম মাধ্যমেও ব্যবসার প্রসার চালাতে পারেন। এরমধ্যে টিকটক, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
২.ফিলিপিং ডোমেইন এর ব্যবসা:
বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটা ব্যবসা হল ফিলিপিং ডোমেইনের ব্যবসা। মূলত ফিলিপিং ডোমেইনের ব্যবসাটি হচ্ছে, একটি ডোমেইন কিনে সেটা আবার বেশি দামে বিক্রি করা। এজন্য আপনাকে প্রথম একটি ডোমেইন কিনে নিতে হবে। আপনি চাইলে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ডোমেইনগুলোও কিনতে পারেন। কারণ এসব পুরাতন ডোমেইন কেনা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি ব্যবসা করতে চাইলে, অবশ্যই ডোমেইন নেমের ওপর আপনাকে গবেষণা করতে হবে। বর্তমানে কোন ডোমেইন নেমের চাহিদা খুবই বেশি সেটি আপনাকে জানতে হবে এবং তারপর সেটি কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
৩.ব্লগিং করে আয়:
অনলাইন থেকে ব্লগিং করে দীর্ঘমেয়াদি আয় করা সবচেয়ে কার্যকারী একটি পদ্ধতি। লেখালেখিতে আপনি যদি দক্ষ হন এবং সঠিকভাবে ব্লগিং প্লাটফর্মে কাজ করে যেতে পারেন। তাহলে অনলাইনে সেরা একটি ব্যবসা হবে আপনার জন্য ব্লগিং। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্লগার আছে, যারা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। তাই আপনি চাইলে ঘরে বসে ব্লগিং করেই অনলাইনে অনেক অর্থ ইনকাম করতে পারেন।
৪.ই-বুক বিক্রি করে ব্যবসা:
যেকোন বিষয় নিয়ে ইবুক লিখে, সেগুলো আপনি বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে, বর্তমানে বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে, এমন বিষয় নিয়ে ই-বুক লিখতে হবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন, সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে যথেষ্ট গবেষণা করতে হবে। তারপর লিখতে বসুন, কারণ ঐ টপিকে নতুন কিছু না থাকলে পাঠকরা পড়ার জন্য উৎসাহী হবে না। এরপর আপনার ই-বুক তৈরি করা হয়ে গেলে, আপনি আমাজনের কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং যেয়ে পাবলিশ করতে পারেন আপনার ই-বুক। তাই নিয়মিত ইবুক লেখার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৫.ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা:
ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। এই ব্যবসায় আপনার নিজের পণ্য না থাকলেও চলবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অর্ডার নিয়ে অন্য কোম্পানির পণ্য আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। এখানে মূলত, খুচরা ব্যবসার মত প্রাথমিক বিনিয়োগ নাই। তাছাড়া আপনাকে মালামাল সংগ্রহ করেও রাখতে হবে না। তাই আপনি চাইলেই খুব সহজেই ভাল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এই ব্যবসার মাধ্যমে।
৬.ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়ঃ
যদি আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান, তাহলে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউবে হচ্ছে সেরা একটি মাধ্যম ব্যবসা বাণিজ্যের পণ্য প্রচারের ক্ষেত্রে। তবে আপনি ইউটিউব থেকে যেভাবেই আয় করার কথা ভাবুন না কেন, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। শুধুমাত্র আপনি এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় হবে। তাই আপনি ইউটিউবকে টার্গেট করতে পারেন ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করার জন্য।
৭.অনলাইনে ফটো বিক্রি:
আপনি যদি একজন ভাল ফটোগ্রাফার হন, তাহলে অবশ্যই অনলাইনে ফটো বিক্রি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনেক সময় স্টক ফটো কেনার প্রয়োজন হয় অনলাইনে কাজের জন্য, অনলাইনের বিভিন্ন সাইট থেকে ক্রেতারা ফটো ক্রয় করে থাকে। আপনি অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট পাবেন, যেখানে আপনার তোলা ফটো গুলো খুব সহজেই আপনি বিক্রি করতে পারবেন। তাই ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করতে চাইলে, এই কাজটি করতে পারেন।
৮.অনলাইনে থিম তৈরি করে:
আপনি যদি একজন ভাল ডেভলপার হন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের থিম তৈরি করতে পারেন। আপনার তৈরি থিম যদি ভাল হয়, আপনি ফেসবুক গ্রুপ বা আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাস্টমার জোগাড় করতে পারেন এবং তাদেরকে আপনার থিম নেওয়ার জন্য বলতে পারেন। তাছাড়া আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আপনার তৈরি করা থিম গুলো বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৯.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
অনলাইনে ব্যবসা করে টাকা আয় করার সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি কোন ইনভেস্ট না করেই ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে। তাছাড়া আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে, এবং আপনার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। বর্তমানে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। তাই আপনিও ইনকাম করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
১০.ক্যাপচা লিখে আয়:
বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা তাদের কর্মীদের ডাটা এন্ট্রি বা ক্যাপচা পূরণ করার মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। আপনি চাইলে সেইসমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করতে পারেন ডাটা এন্ট্রি ক্যাপচা পুরণ করে। এসব কাজের জন্য আপনি অনলাইনে অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট পাবেন এবং দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় দেওয়ার মাধ্যমে মাসে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই এটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি মাধ্যম ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার জন্য।
১১.অনুবাদ বা ট্রান্সলেশন:
আপনি যদি ইংরেজিতে খুবই দক্ষ হন বা পাশাপাশি অন্য যেকোন ভাষায় আপনি যদি পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এই অনুবাদের কাজ করার মাধ্যমে। কেননা অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, তাঁরা এ সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে লোক খুঁজে থাকে অনুবাদের জন্য। তাহলে আপনি ঘরে বসেই এই কাজটি করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
১২.কনটেন্ট রাইটিং:
বর্তমানে অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে, যাদের প্রতিদিন কনটেন্টের প্রয়োজন হয় তাদের ওয়েবসাইটের জন্য। আপনি চাইলে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে এতে আপনি পার্ট টাইম ইনকামও করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি কনটেন্ট রাইটিং কে যদি ব্যবসা হিসেবে নিতে চান, তাহলে আপনি কনটেন্ট রাইটিংয়ের একটি টিম তৈরি করে এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য অর্ডার নিতে পারেন। বর্তমানে অনেকে কনটেন্ট রাইটিং এর ব্যবসা করে অনলাইনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। তাই আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারেন, কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করার মাধ্যমে।
মেয়েদের অনলাইন ব্যবসার আইডিয়াঃ
ব্লগিং করা:
মেয়েরা ইচ্ছে করলে তারা বাড়ি বসেই ব্লগিং করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। বর্তমানে ব্লগিং বেশ সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা। এখানে সফলতা পেতে আপনার বেশ সময় লাগবে। প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে আপনি যদি এখানে কাজ করে যান, তাহলে অবশ্যই ব্লগিং থেকে আপনি একসময় ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
সাধারণত মেয়েরা বাইরে গিয়ে কম কাজ করতে চাই। তাই তারা ইচ্ছে করলে ব্লগের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারে এবং একসময় তারা খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবে এই ব্লগ থেকেই।
ইউটিউবিং করে:
বর্তমানে অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে, তাঁরা তাদের প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করার জন্য প্রোডাক্ট এর বিবরণ দেয়ার জন্য লোক নিয়োগ করে থাকে। ইউটিউব এর মাধ্যমে যখন তারা তাদের প্রোডাক্ট এর এড দেখায় তখন কোন না কোন মেয়ে দেখবেন সে প্রোডাক্ট এর বিষয়ে কথা বলছে। এই কাজটি ইচ্ছা করলেই মেয়েরা করতে পারে, কেননা তাদের জন্য এইটাই হতে পারে দারুন একটি অনলাইন ব্যবসা।
কন্টেন্ট রাইটিং এর জব করে:
কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ মেয়েদের জন্য দারুণ একটি কাজ। অনলাইন ব্যবসার মধ্যে মেয়েদের জন্য এটি একটি অন্যতম এবং কার্যকারী উপায়। ঘরে বসেই মেয়েরা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারে এবং ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবে কাজ শেষে। আপনি আপনার ইচ্ছামত কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আপনি যদি বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ক্লায়েন্টের অভাব হবে না। তাই ঘরে বসেই মেয়েরা অর্থ উপার্জন করার জন্য এই কাজটির সমতুল্য কোন কাজ নেই।
অনলাইনে টেইলার্সের ব্যবসা:
মেয়েরা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারেন। আর এই জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে এবং আপনার এই ব্যবসা সম্পর্কে মানুষদেরকে জানাতে হবে। আপনার দোকান সম্পর্কের যখন মানুষ জানবে এবং আপনার হাতের কাজ যখন ভাল হবে তখন তারা আপনাকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অর্ডার করবে কাজের জন্য। মেয়েদের অনলাইন ব্যবসার জন্য এটি খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। আপনি এই ব্যবসায়ী যদি সঠিক দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন আপনি আপনার এই ব্যবসার জন্য। কেননা মানুষকে প্রতিদিন এই কিছু না কিছু কাজের জন্য টেইলার্সের নিকট আসতে হয় তাই আপনি যদি এখানে সঠিক দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে অনেক মানুষ আপনার দোকান চিনবেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে জিনিস অর্ডার করবে। তাই মেয়েরা যদি অনলাইন ব্যবসা করতে চাই ঘরে বসে তাহলে এই ব্যবসাটি করতে পারে। তারা এই ব্যবসাটি ঘরে বসে খুব সহজেই করতে পারবেন।
ঘরে বসে শিক্ষকতা করে:
আপনি যদি পড়াশোনায় খুবই ভালো হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আয় করতে পারেন ঘরে বসে শিক্ষকতা করে। মেয়েদের জন্য অনলাইন ব্যবসার জন্য এই কাজটি হবে বেশ কার্যকারী। আপনাকে এই কাজের জন্য যে কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হন, অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে তার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে শিক্ষকতা করতে পারবেন এবং সেখান থেকে আপনি ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে শিক্ষকতা করে অনেক ভালো অর্থ উপার্জন করছে। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করেও আপনি এই কাজটি করতে পারেন। তাই মেয়েরা ঘরে বসে যদি অনলাইন ব্যবসা করতে চাই, তাদের জন্য হতে পারে এটি একটি ভাল কাজ।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসাঃ
বর্তমানে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ ফেসবুুক ব্যবহার করে। তাই ই-কমার্স ব্যবসার প্রচার ফেসবুকের মাধ্যমে করে অধিক পরিমানে গ্রাহক পাওয়া সম্ভব। তবে যেকোন পণ্যদ্রব্য ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার ও বিক্রি করার আগে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আপনি যাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে চাচ্ছেন তারা কোন ধরনের পন্য নিতে বেশি আগ্রহী। নিজের ফেসবুক একাউন্টে পণ্যের ছবি আপলোড করে প্রচার করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড গ্রুপে পণ্যের ছবি আপলোড করে সহজেই প্রচার করতে পারবেন।
সাথে পণ্যের কোয়ালিটি, ডিজাইনকৃত ছবি, প্রাইস ইত্যাদি উল্লেখ করেই প্রচার করতে হবে। তাহলে গ্রাহক পণ্যের ডিটেলস সম্পর্কে জানবে এবং এতে ক্রেতাদের অর্ডার করতে সুবিধা হবে। ফেসবুকে অনেক বিজনেস গ্রুপ রয়েছে। যেখানে জয়েন করে আপনি আপনার পণ্যের প্রচার চালাতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ফেসবুক লাইভ বা প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও করে পণ্যের প্রমোশন করতে পারবেন। আপনার পন্যের রিভিউ পোষ্ট ফেসবুক এর বিভিন্ন বিজনেস গ্রুফে করার আগে আপনার প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার একটি নাম নির্ধারণ করে নিন এবং প্রতিটা পোষ্টে তা অবশ্যই মেনশন করুন। এতে করে, গ্রাহকরা আপনার পেজ এ লাইক/ফলো করবে এবং আপনার সাথে পারমানেন্টলি কানেক্ট থাকবে। যার ফলে আপনি কিছু পামানেন্ট কাস্টমার পেয়ে যাবেন।
পরিশেষে, ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে অনায়াসে অনলাইন ব্যবসা করা যায় এবং খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।