মুকেশ আম্বানি

বিশ্বের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির লাইফস্টাইল, বাসভবন ও সম্পদের পরিমাণ

শুধু ভারতের নয় এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন মুকেশ আম্বানি। ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তিনি সেই কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বৃহৎ শেয়ারের মালিক। মুকেশ আম্বানি, হিন্দু বংশোদ্ভুদ ধীরুভাই অম্বানী ও কোকিলাবেন অম্বানীর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং অনিল আম্বানির বড় ভাই। ১৯৮৫ সালে নীতা আম্বানির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তিনি দুই পুত্র অনন্ত আম্বানি, আকাশ আম্বানি ও এক কন্যা ইশা আম্বানির জনক। ২০১৫ সালে চীনের হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট আম্বানিকে নিয়ে একটি গবেষনা প্রকাশ করে যে,  তিনি ভারতীয় মানবহিতৌষীদের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন।

মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণঃ

সম্প্রতি ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচকে জানা যায় গত এক বছর তাঁর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় পনের বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার কারনে তাঁর সম্পদ ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

মুকেশ আম্বানি বিশ্বের কততম ধনীঃ

৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবার কারনে বর্তমানে তিনি বিশ্বে শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকাতে চলে আসেন এবং ইনভেস্টোপিডিয়ার তথ্য সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে তিনি বিশ্বে শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১০ম।

মুকেশ আম্বানি নেট বর্তঃ

২০২১ সালে এই ভারতীয় ব্যবসায়ীর মোট সম্পদ বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ৯৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মুকেশ আম্বানির বাসভবনঃ

মুকেশ আম্বানির বাসভবন ভারতের মুম্বাই শহরে। মুকেশ আম্বানির বাসভবনকে সপ্নপুরীর রাজপ্রাসাদ বললেও ভুল হবেনা কারন বিশ্বের সবথেকে সুখ্যাত বাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্টান ‘পারকিন্স এবং উইল’ এর মাধ্যমে এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে। বিশ্বের ২য় ব্যয়বহুল বাড়ি এটি। তাঁর এই বাড়িটি ‘আন্তিল্লা’ নামে নামকরন করা হয়েছে। মুকেশ আম্বানি নিজেই এই নামটি পছন্দ করেন। ২৭ তলা নির্মানাধীন এই বাড়িটি সম্পুর্ন  অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ৫৭০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাড়িতে রয়েছে ছয় তালা বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, তিনটি হ্যলিপ্যাড, বিশাল বড় মন্দির তার সাথে রয়েছে মনোরম বাগান, স্নো-রুম বা তুষারাবৃত কক্ষ, বিনোদনের জন্য রয়েছে সুবিশাল কামরা ও খেলাধুলার সরঞ্জামাদি এবং রয়েছে ৯ টি সুপার ফাস্ট এলিভেটর বা লিফট।

মুকেশ আম্বানির বাড়ির দাম কতঃ

এই রাজপ্রাসাদটি নির্মান করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৬শ’ কোটি টাকা। ৬-৭ জন মানুষের জন্য বানানো হয়েছে সাড়ে চার লক্ষ বর্গফুটের একটি বাড়ি। বর্তমানে প্রতি বর্গফুটের দাম আসে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা।সুতরাং তাঁর বাড়ির মূল্য কত আসতে পারে সেই ধারনা তাহলে ইতোমধ্যে পেয়ে গিয়েছেন।

তিনি একজন ধনকুবের হয়েও তিনি কোথাও বেরুলে তাঁর সাথে কোন টাকা রাখেন্না। তাকে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নটি করা হয়েছিলো। উত্তরে তিনি জানান তিনি খুব সাধারন চলাফেরা করতে পছন্দ করেন এবং কোন কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন পড়লে তাঁর সাথে একজন ব্যক্তিগত সহকারী থাকেন তিনি তা পরিশোধ করেন।

তার জন্য তাকে তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি তবে তিনি একবার অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে বিমানের এক ফ্লাইট মিস করেন। পরের ফ্লাইটে যাবার সময় তিনি তাঁর এক সহযাত্রীর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। পরে তা ফেরত দিয়ে দিলেও এ ধরনের আর কোন সমস্যায় পড়েননি তিনি। তিনি আর ১০ টা সাধারন মানুষের মতই চলাফেরা করতে সাচ্ছন্দবোধ করেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *