খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহারের বিশেষ ১০টি উপকারিতা
সরিষার তেল আমাদের ঐতিহ্য। সরিষার তেল একসময় গ্রামবাংলার একমাত্র ভোজ্যতেল ছিল। এই তেল প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এর ঔষধি গুণাগুণের জন্য। সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও। তবে বর্তমানে, বাজারে সয়াবিন তেলের আবির্ভাবের পর থেকেই আমরা অনেকেই সরিষার তেলের উপকারিতার কথা ভুলে গেছি। অথচ এক সময় আমাদের রান্নার প্রধান উপকরণ ছিল সরিষার তেল। এখনও প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্না ঘরে রয়েছে সরিষার তেল যা – রান্নায়, ভর্তা বানাতে এমনকি মালিশের কাজেও ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ বছর আগে থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই সরিষার তেল প্রয়োজনীয় তেমনি এর উপকারিতাও অনেক।
সরিষার তেলের পুষ্টি উপাদানঃ
অনেক প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান সরিষার তেলে রয়েছে। আমাদের ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য যা খুবই উপকারী। প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ সবকিছুই রয়েছে এই সরিষার তেলের মধ্যে। তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। যা নতুন চুল গজাতে ও চুলের গোঁড়া মজবুত করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
সরিষার তেলের উপকারিতাঃ
যারা সরিষার তেলের সঠিক গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা নিয়মিত এখনও সরিষার তেল ব্যবহার করেন। আর যারা এই তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না, তাদের জন্য নিম্নে সরিষার তেলের উল্লেখযোগ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলঃ
১. স্বাস্থ্যকর রান্না হয়
সরিষার তেল ব্যবহার করে রান্না করলে স্বাদ যেমন বেশী হয় তেমনি রান্নাকৃত খাদ্যের পুষ্টিমান থাকে অক্ষুন্ন। সয়াবিন,সানফ্লাওয়ার কিংবা রাইসব্রান ওয়েল এর তুলনায় সরিষার তেলের রান্না অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আস।
২। ত্বক উজ্জ্বল করে
ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে, প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে। এজন্য সরিষার তেলের সাথে বেসন, দই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এরপর প্রায় ১০-১৫ মিনিট এই পেস্টটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলেই আপনার ত্বকে ভিন্নতা ও উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
৩। প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকে সরিষার তেলে। যা গায়ে মাখলে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে সুরক্ষিত থাকে। এই ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকে ক্যানসার হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। যা প্রতিরোধে সরিষার তেল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করে তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে করে। তাই আপনার ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন লোশনের মতোই ব্যবহার করতে পারেন এই সরিষার তেল।
৪। চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে
সাধারণত চুলের যত্নে আমরা নারিকেল তেল বা জলপাই তেল বেশি ব্যবহার করি। কিন্তু চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সরিষা তেলের ভূমিকাও কম নয়। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে। নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে অকালে চুল সাদা হওয়া ও চুল পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া সরিষার তেলে থাকা উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চুলের গোঁড়া মজবুত করে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। সরিষার তেলে আরও বিদ্যমান আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল কালো করতেও অত্যন্ত কার্যকারী।
৫।কাজ করে উদ্দীপক হিসেবে
সরিষার তেল পরিপাক তন্ত্র, রক্ত সংবহন তন্ত্র ও রেচন তন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি নিয়মিত শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত হয়। যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং শরীরের সারা দিনের ক্লান্তি ভরা পেশিগুলো উজ্জীবিত এবং সবল রাখে। এছাড়া এটি পরিপাক তন্ত্রে ক্ষুধা সৃষ্টি করে খাবারের রুচি বাড়ায়।
৬। ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে
সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক ক্যানসার বিরোধী উপাদান থাকে যা ক্যানসারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল শরীরকে ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয় ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
সরিষার তেলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা খাবারে পরিমাণ মত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে হার্ট ভাল থাকবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
৮। ব্যথা দূর করে
অনেকেই আছেন যারা জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস রোগসহ নানা কারণে ব্যথায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। ব্যথা দূর করতে পেইনকিলার নিতে হয় যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তারা সরিষার তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ এতে এমন উপাদান রয়েছে যা প্রদাহজনিত ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যথার থেকে আরাম পাওয়া যায়।
এসকল ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরিষার তেলে পরিমাণমতো কর্পূর মেশান। তেল চুলার তাপে বা রোদে হালকা গরম করে ঠান্ডা করে নিন। এবার ব্যথার স্থানে সেই তেল দিয়ে মালিশ করুন। দেখবেন দ্রুতই ব্যথা নিরাময় হবে এবং আরাম পাবেন।
৯। ঠান্ডা লাগা দূর করে
আমরা সচরাচর ঠান্ডা লাগার কারণে ডাক্তার দেখাই না। এক্ষেত্রে অনেক সময় বুকে কফ জমে যায়। তবে ঐ স্থানে আপনি যদি সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করেন তাহলে বুকের কফ দূর হয়ে যাবে। অনেকের আবার ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে বন্ধ নাক খোলার জন্য কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল এক বাটি পানিতে ঢালুন। পানি একটু গরম করে ভাপ নিন। দেখবেন আপনার বন্ধ নাক খুলে গেছে এবং শ্বাস প্রশ্বাস সচল হবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, সরিষার তেল বুকে বা পায়ের তলায় দিয়ে মালিশ করুন যা খুবই উপকারী ও ফলপ্রসূ।
১০। ঠোঁট ফাটা রোধ করে
শীতকালে আমাদের জাতীয় সমস্যা হল ঠোঁট ও ত্বক ফাটা। কারণ শীতকালে বাতাসে প্রচুর আদ্রর্তা থাকে। যারফলে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায় এবং শরীরকে শুষ্ক করে ফেলে। এতে করে আমাদের শরীর তথা ঠোঁট ও অন্যান্য অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়। কিন্তু আপনি যদি সরিষার তেল ব্যবহার করেন তাহলে এটি আর হবে না। তাই ঠোঁট ফাটা রোধে সরিষার তেল বেশ উপকারী।
খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়ঃ
- আসল সরিষার তেল সুতির কাপড়ে ফেললে কাপড়ে কোন দাগ পড়ে না, নকল সরিষার তেল সুতির কাপড়ে ফেললে কাপড়ে দাগ পড়ে।
- তেল ফ্রিজে রাখার পর যদি জমে যায় তাহলে মনে করবেন এটি নকল সরিষার তেল।
- তেল হাতের তালুতে রেখে ঘষুন। যদি দেখেন তেলের বর্ণের পরিবর্তন হয়েছে তাহলে এটি নকল সরিষার তেল।
সরিষার তেল চুলে ব্যবহারের উপকারিতাঃ
সরিষার তেল চুলের যত্নে খুবই উপকারী। চুলের যত্নে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। সরিষার তেল চুলে ব্যবহার করলে সুগন্ধযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। নিচে সরিষার তেল চুলে ব্যবহারের উপকারিতাগুলো দেওয়া হল:
১. সরিষার তেলে আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চুল সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখে। তাছাড়া কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ কাজ করে আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড। যার ফলে চুল দ্রুত বাড়ে।
২. সরিষার তেল চুলে নিয়মিত মালিশ করলে ফলিকল মজবুত এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম মিনারেল এবং ভিটামিন এ ডি ই ও কে। এছাড়াও রয়েছে জিংক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম, যা চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
৩. আপনার চুল যদি রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাহলে নিয়মিত মাথার তালুতে আপনি সরিষার তেল মালিশ করুন। ফলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকভাবে হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে। এ ছাড়া চুল সুন্দর, বড়, মজবুত ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে সরিষার তেল অত্যন্ত উপকারী।
রান্নায় সরিষা তেলের উপকারিতাঃ
আমরা সাধারণত সরিষার তেল বিভিন্ন ধরনের ভর্তা তৈরি ও সর্দি-কাশি ভালো করতে গায়ে মেঘে থাকি। তবে এ তেলের রান্নায় ব্যবহার করলে সুগন্ধ ও স্বাদ বেড়ে যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা বলে থাকেন যে, রান্নায় নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। চলেন জেনে নিই রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহারে যে সব উপকার পাওয়া যায়:
১. বিশ্বে প্রতি বছর হৃদরোগজনিত জটিলতার কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় কোলেস্টেরলের মাত্রা ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
২. ওমেগা থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সরিষার তেলে থাকায় যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৩. শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ টিউমারের আশঙ্কা কমে যায় যদি রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়।
৪. অ্যালিল আইসোথিয়োকানেট উপাদান সরিষার তেলে থাকার কারণে প্রায় ৩৪ ভাগ মূত্রাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. প্রদাহজনিত সমস্যা কমানোর জন্য সরিষার তেল বেশ উপকারী।
৬. সরিষার তেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে ওজন কমে।
নাকে সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারিতাঃ
আগেকার দিনে স্নানের আগে কানে, নাকে এক দু ফোটা সরিষার তেল দিয়ে তারপর স্নান করতো। সরিষার তেলের অনেক রকম গুণ এর মাঝে একটি হচ্ছে, ঘুমানোর আগে নাকে তেল দেওয়া। এর ফলে তেল নাসারন্ধ্রকে পরিষ্কার রাখে এবং শ্বাস, প্রশ্বাস নেয়ার প্রক্রিয়া খুব মসৃণ হয়। ফলে ঘুমের কোন রকম ব্যাঘাত হয় না। তাছাড়া গ্লুকোসাইনোলেট নামে এক রাসায়নিক উপাদান সরিষার তেলে থাকে যা মাইক্রোব ও ব্যাক্টেরিয়াকে নির্মূল করে। ফলে, সর্দি লেগে যদি নাক বদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে নাকে এই তেল ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
ত্বকের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারিতাঃ
আপনি নিয়মিত রান্নায় যদি এই তেল ব্যবহার করেন যা স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। ঠিক তেমনিভাবে রুপচর্চায় এর কার্যকারিতা বহুল। প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চলেন জেনে নিই,ত্বকের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারিতাঃ
১. প্রতি রাতে সরিষা ও নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে দশ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখ ভাল করে ধুয়ে নিবেন এতে আপনার ত্বক হবে নরম ও উজ্জ্বল।
২. সরিষার তেল ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে বেশ কার্যকারী। এজন্য সরিষার তেলের সঙ্গে বেসন, দই ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ও ঘাড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স রয়েছে সরিষার তেলে। নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে ত্বকে বার্ধ্যক্যের ছাপ পড়বে না যদি নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করেন।
৪. আপনি চাইলে সানস্ক্রিনের পরিবর্তে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ সূর্যের আলট্রাভায়োলেট ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাবে।
সরিষার তেলের অপকারিতাঃ
১. সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
২. আপনি সরিষার তেল ত্বকে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া অন্তঃস্বত্তা নারীরা অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন।
৩. ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. হৃদ্স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।
৫. সরিষার তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিশেষে, খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বর্তমানে অনেকেই সয়াবিন তেলের পরিবর্তে সরিষার তেলে খাওয়ার কাজে ব্যবহার শুরু করেছে।